২.২. অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উপবৃত্তি
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি
বিভিন্ন অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ । সমাজসেবা অধিদফতরের জরিপমতে বাংলাদেশে প্রায় ১৩,২৯,১৩৫ জন অনগ্রসর জনগোষ্ঠী । জেলে, সন্যাসী, ঋষি, বেহারা, নাপিত, ধোপা, হাজাম, নিকারী, পাটনী, কাওড়া, তেলী,পাটিকর , বাঁশফোর, ডোমার, রাউত, তেলেগু, হেলা, হাড়ি, লালবেগী, বাল্মিগী, ডোম ইত্যাদি তথাকথিত নিম্নবর্ণের জনগোষ্ঠী এ অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত।
২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে পাইলট কর্মসূচির মাধ্যমে ৭টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। পাইলট কার্যক্রমভুক্ত ৭টি জেলা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, নওগাঁ, যশোর ,বগুড়া এবং হবিগঞ্জ । ২০১৩-১৪ অর্থবছর হতে শেরপুর জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর হতে ৬৪ জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে । বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে একই কর্মসূচীর আওতায় সুবিধা প্রদান করা হতো কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছর হতে এই দুই জনগোষ্ঠীকে আলাদা আলাদা কর্মসূচীর নামে সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। একটি হলো বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচী, অপরটি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচী।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গিকার হিসেবে শেরপুর জেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বিশেষ জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উপকারভোগীর সংখ্যা ১৪৬ জনে উন্নীত করা হয় এবং জনপ্রতি মাসিক উপবৃত্তির হারও বাড়ানো হয় যা জনপ্রতি মাসিক প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১০০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিবিড় তদারকি এবং সমাজসেবা অধিদফতরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে বিশেষ এই উপবৃত্তি বিতরণে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বর্তমান সরকারের সময় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা হল, বিদ্যমান বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ। এছাড়া ১০ টাকার বিনিময়ে সকল ভাতাভোগীর নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলে উপবৃত্তির অর্থ পরিশোধ করা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
স্কুলগামী অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লক্ষ্যে ৪ স্তরে (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চতর স্তর) উপবৃত্তি প্রদান ;
কার্যক্রম শুরুর বছর :
২০১৩-১৪ অর্থবছর।
সেবা প্রাপ্তির স্থান/অফিসের নাম:
উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিস
দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা / কর্মচারী:
উপজেলা / শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা
সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):
বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলা / শহর সমাজসেবা অফিসার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। অত:পর নির্ধারিত ফরমে আগ্রহী শিক্ষার্থীগণ সমাজসেবা অফিসার বরাবর আবেদন করতে হয় । প্রাপ্ত আবেদন উপজেলা কমিটি যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ অনুসারে উপকারভোগী নির্বাচন চূড়ান্ত করেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং কেন্দ্রীয় হিসাব হতে উপবৃত্তির টাকা উপকারভোগীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবহিতকরণপূর্বক উপবৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন করা হয় ।
সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সময়:
১. নতুন বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবেদনের ০৩ মাসের মধ্যে;
২. পুরাতন বা নিয়মিতদের ক্ষেত্রে ০৭ কর্মদিবস।
প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ:
বিনামূল্যে
নির্দিষ্ট সেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা :
১. চেয়ারম্যান/উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ (সংশ্লিষ্ট উপজেলা)
২. জেলা প্রশাসক (সংশ্লিষ্ট জেলা) বা সিটিকরপেরেশন / পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা / আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (সংশ্লিষ্ট প্রশাসন)
৩. কর্মসূচি পরিচালক
উপজেলাওয়ারী পরিসংখ্যানঃ
ক্রঃ নং |
উপজেলা/পৌরসভা |
উপকারভোগী শিক্ষার্থী (২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত) |
||||
|
|
প্রাথমিক |
মাধ্যমিক |
উচ্চ মাধ্যমিক |
উচ্চতর |
সর্বমোট |
১ |
শেরপুর সদর উপজেলা |
১৪ |
৬ |
৪ |
৩ |
২৭ |
২ |
নকলা উপজেলা |
২৫ |
৮ |
৪ |
৪ |
৪১ |
৩ |
নালিতাবাড়ী উপজেলা |
১৪ |
৬ |
৩ |
৩ |
২৬ |
৪ |
ঝিনাইগাতী উপজেলা |
৬ |
৬ |
৩ |
৩ |
১৮ |
৫ |
শ্রীবরদী উপজেলা |
৫ |
৬ |
৩ |
১ |
১৫ |
৬ |
শেরপুর পৌরসভা |
১০ |
৫ |
৩ |
১ |
১৯ |
সর্বমোট |
৭৪ |
৩৭ |
২০ |
১৫ |
১৪৬ |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস